বন রক্ষার জন্য আমাদের দেশে রয়েছে ‘বন আইন ১৯২৭’। সারা পৃথিবীতে ১.৬ বিলিয়ন দরিদ্র মানুষের খাদ্য, তন্তু, পানি ও ঔষধের যোগান হয় বন থেকে। বন তথা বৃক্ষ কার্বন শোষণ করে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রভাব কমিয়ে আনে। শহরাঞ্চলে কৌশলগত বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বাতাসের তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে আনা সম্ভব, এতে করে এয়ারকন্ডিশনের ব্যবহার ৩০% কমে যাবে। একটি শহরের বায়ু হতে ক্ষতিকর দূষক ও সূক্ষ্ম কণাসমূহ অপসারণের মাধ্যমে গাছ চমৎকারভাবে বায়ু ফিল্টার হিসাবে কাজ করে। এমনকি বেশি গাছপালা থাকার কারণে শব্দ দূষণের মাত্রাও কমে যায়।
রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব শহরই নীরব ঘাতক শব্দদূষণের কবলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৬০ ডেসিবেল শব্দে মানুষের সাময়িক শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে এবং ১০০ ডেসিবেল শব্দে চিরতরে শ্রবণশক্তি হারাতে পারে। অথচ রাজধানী ঢাকায় ১০৭ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দ সৃষ্টি হয়েছে। আসলে দেশে অসংখ্য সমস্যা দৃশ্যমান। নীরব ঘাতক এই শব্দদূষণ নিয়ে কেউ চিন্তা করছে না। আবার বেশিরভাগ লোক না বুঝেই এমন কাজ করে। রাস্তায় অযথা হর্ন বা মাইক বাজিয়ে ক্যাম্পেইন, ভিক্ষা, জোরে আওয়াজ দিয়ে গান শোনা, শব্দ করে হাঁটা এবং অতি বিশেষ ব্যক্তিদের জন্মদিনে মাইকে গান ও বক্তৃতার রেকর্ড বাজানো- এমন ছোটখাটো কিছু দূষণ, যা আমরা সহজে ত্যাগ করতে পারি। কিন্তু আমরা নিজেরাই এ ব্যাপারে সচেতন নই। যেসব আইন আছে, তার প্রয়োগ করি না এবং কখনও কখনও নিজেও ভঙ্গ করে বসি।