by Team CAPS, 0 Comments
উপস্থিত ছিলেন বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর গবেষক ইঞ্জি. মারজিয়াত রহমান, পরিবেশ উদ্যোগ এর গবেষণা সমন্বয়ক ইঞ্জি. নাছির আহম্মেদ পাটোয়ারী, বারসিক এর প্রকল্প পরিচালক মো. কামরুজ্জামান সাগর, একশন এইড […]
গত ১১ নভেম্বর ২০২২ জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের (COP-27) ষষ্ঠ দিনকে ডিকার্বনাইজেশন দিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দিনে মূলত বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে কার্বন নিঃসারণের পরিমাণ কমানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিদ্যুৎ, সড়ক পরিবহন, ইস্পাতশিল্প, হাইড্রোজেন জ্বালানি ও কৃষি—এই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ খাতকে আগামী ১২ মাসের মধ্যে, অর্থাৎ কপ-২৮-এর আগে ডিকার্বনাইজেশন বা কার্বনমুক্তকরণ প্রক্রিয়া গতিশীল করতে ২৫টি সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে একটি অ্যাকশন প্ল্যান করা হয়েছে। এই প্ল্যানের মাধ্যমে সস্তায় ও সহজলভ্যভাবে ক্লিন এনার্জি মানুষের দৌরগোড়ায় পৌঁছে যাবে বলে বিশ্বনেতারা আশাবাদী। এই ক্লিন এনার্জির একমাত্র উপায় হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং সুবিধাজনক ভৌগোলিক অবস্থানের ফলে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত কপ-২৬-এ ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে দেশের ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
গত ১১ নভেম্বর ২০২২ জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের (COP-27) ষষ্ঠ দিনকে ডিকার্বনাইজেশন দিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দিনে মূলত বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে কার্বন নিঃসারণের পরিমাণ কমানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিদ্যুৎ, সড়ক পরিবহন, ইস্পাতশিল্প, হাইড্রোজেন জ্বালানি ও কৃষি—এই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ খাতকে আগামী ১২ মাসের মধ্যে, অর্থাৎ কপ-২৮-এর আগে ডিকার্বনাইজেশন বা কার্বনমুক্তকরণ প্রক্রিয়া গতিশীল করতে ২৫টি সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে একটি অ্যাকশন প্ল্যান করা হয়েছে। এই প্ল্যানের মাধ্যমে সস্তায় ও সহজলভ্যভাবে ক্লিন এনার্জি মানুষের দৌরগোড়ায় পৌঁছে যাবে বলে বিশ্বনেতারা আশাবাদী। এই ক্লিন এনার্জির একমাত্র উপায় হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং সুবিধাজনক ভৌগোলিক অবস্থানের ফলে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত কপ-২৬-এ ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে দেশের ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়াও যানবাহন, বিভিন্ন শিল্পকারখানায় কয়লাসহ তেল ও গ্যাস ব্যবহারের কারণে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন বায়ুদূষণের ঝুঁকি বাড়িয়েই চলেছে। এমনকি তেল ও গ্যাসশিল্প প্রক্রিয়া থেকে বিশ্বব্যাপী ১০ শতাংশের বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন হচ্ছে। এ ছাড়া তেল ও গ্যাস উত্তোলনের সময় মিথেন গ্যাস লিকেজ হয়ে থাকে; মিথেনও একটি গ্রিনহাউস গ্যাস, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। তাই নবায়নযোগ্য বিকল্প জ্বালানির দিকেই আমাদের নজর দিতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক মিথেন নিঃসারণ ৩০ শতাংশ কমানোর উদ্দেশ্য সামনে রেখে ইতিমধ্যে বিশ্বের ১২২টি দেশ বিশ্ব মিথেন চুক্তিতে যুক্ত হয়েছে। বিশ্বনেতারা আজ একমত যে বিশ্বস্ততা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিলিয়ন পাউন্ডের বিনিয়োগ দরকার। কমপক্ষে ৫০টি বড় আকারের প্রায় শূন্য কার্বন নির্গমন করে— এমন শিল্পকারখানা এবং কমপক্ষে ১০০ নবায়নযোগ্য হাইড্রোজেন শক্তির উৎস গঠন করতে হবে। এর পাশাপাশি আন্তসীমান্ত পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০৪০ সালের মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি ও গণপরিবহনজাত দূষণ রোধ করার জন্য একটি বাস্তবিক লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।