আজ ১২ই নভেম্বর জলবায়ু সম্মেলনের সপ্তম দিনকে অভিযোজন এবং কৃষি দিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। আজকে মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে কৃষি ক্ষেত্রের অভিযোজন আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে। আজকে অভিযোজন এবং কৃষির উপর মোট বারোটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম অধিবেশনে কপ২৭ এর FAST উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।এই উদ্যোগটির লক্ষ্য হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে কৃষি এবং খাদ্যের জন্য আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।দ্বিতীয় অধিবেশনে মাল্টিস্টেকহোল্ডার ও মাল্টিসেক্টরাল উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়। এই উদ্যোগটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানব স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ঝুঁকি কমাবে। তৃতীয় অধিবেশনে Climate Response for Sustaining Peace উদ্যেগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। চতুর্থ অধিবেশন মূলত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক যেখানে মূলত জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন আরো কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। পঞ্চম অধিবেশনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোতে খরা এবং বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য পূর্বাভাস প্রদানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও তথ্য বিশ্লেষণ কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়। ষষ্ঠ অধিবেশনে কিভাবে আধুনিক প্রযুক্তি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে ভূমিকা রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়। সপ্তম অধিবেশনে ২০১৪ সালে মালবো ডিক্লারেশন এর পর থেকে আফ্রিকা ও আরব দেশগুলো খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে তার উপর আলোচনা হয়। অষ্টম অধিবেশনে জলবায়ু স্মার্ট-কৃষি এবং খাদ্য উৎপাদনের জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ভূমিকা এবং এক্ষেত্রে বেসরকারি ও বহুজাতিক মোবাইল কোম্পানিগুলো কিভাবে বিনিয়োগ বাড়াতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়। নবম অধিবেশনে জলবায়ু স্মার্ট-কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং গ্রামীণ ক্ষুদ্র কৃষকরা সহজ শর্তে ঋন পাওয়ার উপায় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। দশম অধিবেশনে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বর্তমান খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। একাদশ অধিবেশন হচ্ছে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক যেখানে মন্ত্রীরা উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের আলোকে কিভাবে Koronivia Joint Work on agriculture বাস্তবায়ন করা যায় তার উপর মতামত প্রদান করেন। দিনের শেষ অর্থাৎ ১২তম অধিবেশনে মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত কিভাবে কৃষি সেক্টর বাড়ানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তা আলোচনায় গুরুত্ব পাই।